কথা সাহিত্যশব্দ খেলা

অনিলদের পোড়া বাড়ি

অনিলদের পোড়া বাড়ি

টুম্পা আমার বুকে মাথা রেখে কেদেই চলেছে। মনে হচ্ছে ওর চোখের জলে আমার বুক ভাসিয়ে দিচ্ছে। আমি কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছি না কেন এই কান্না। সব তো ঠিকই আছে, তাহলে কেন? যখন কান্না করার সময় ছিলো তখন তো করেনি।

আমার যখন বত্রিশ বছর বয়স তখন টুম্পার সাথে দুই পরিবারের মতে আমাদের বিয়ে হয়। তবে টুম্পার মত ছিলো কি না তা আমার জানা নেই আর কখনও জানতে চাই না। আমার সাথে টুম্পার যখন বিয়ে হয় তখন ওর বয়স মাত্র বিশ বছর। আমার সাথে মানিয়ে নিতে প্রায় সাড়ে তিন বছর সময় লেগেছিলো টুম্পার, তাও আড়াই বছর হয়ে গেছে। এখন আমাদের সংসারে দেড় বছরের একজন রাজকন্যা আছে। রাজকন্যার নাম সারা। আমি সারাদিন অফিস এর কাজ শেষ করে বাসায় ফিরে টুম্পা আর সারার সাথেই সময় কাটিয়ে দেই। ওরা দুজনই আমার পৃথিবী।সারা ঘুমাচ্ছে আর এদিকে টুম্পা কেদেই চলেছে। বাহিরে ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে। এমন রোমান্টিক মূহুর্তেও কেন টুম্পা এরকম করছে কিছুতেই আমার মাথায় ঢুকছে না।

– কি হলো টুম্পা? তুমি কি শুরু করলে? বলবে তো কি হয়েছে।

– সর্বনাশ হয়ে গেছে আমান। আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। আমার খুব ভয় করছে।

– কি বলছো তুমি? কি ক্ষতি?

– আমি অনেক বড় ভুল করে ফেলেছি।

– কিসের ভুল? কান্না থামিয়ে একটু বলবে?

– আমি মুখে বলতে পারবো না, আমার অনেক ভয় হচ্ছে। বিশ্বাস করো কি থেকে কি হয়ে গেলো আমি ইচ্ছে করে করিনি। আমি নিজেকে সামলাতে পারিনি।

টুম্পার কথা শুনে আমার শরীর ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। তাহলে কি টুম্পা! নাহ, টুম্পা এরকম করতে পারে না। সজল! তাহলে কি সজল এর সাথে কিছু। না না এটা কি করে সম্ভব? সজল তো ওর ছোট ভাইয়ের মত। আমার ছোট ভাই মানেই তো ওর ভাই। সজল আমার বড় চাচার ছেলে। আমাদের বাসায় দশ দিন হয়েছে বেড়াতে এসেছে। আগামী সপ্তাহে বাড়ি চলে যাবে।

– টুম্পা দয়া করে আমাকে বলো। আমার কিন্তু এখন খুব রাগ হচ্ছে।

টুম্পা ওর মোবাইল থেকে একটা ভিডিও প্লে করে আমাকে দেখতে দিলো। ভিডিও দেখে আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পরলো। এ আমি কি দেখছি…………

(অপেক্ষা করুন, বাকী পর্ব আসছে……।।)

 

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!